প্রকল্প – ৩ ( একাদশ শ্রেণী )
প্রকল্প – ৩ ( একাদশ শ্রেণী )
প্রকল্পঃ- বিদ্যালয়ের মধ্যে পরিচালিত যে কোন কার্যাবলী ( সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বিতর্ক
প্রতিযোগিতা, যে কোন খেলাধুলা, প্রাতকালিন
সম্মেলন ইত্যাদি ) অথবা তোমার তুলনামূলক বিচারে অন্য কোন মাধ্যমিক/প্রাথমিক বিদ্যালয়ে
পরিচালিত সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলীর পর্যালোচনা। (To organize any activity
within school ( cultural function, debate, any game, sports, morning assembly
etc. ) or to study on going co-curricular activities in another
secondary/primary school in comparison to your own. )
উপরে উল্লেখিত বক্তব্য অনুযায়ী নিম্নলিখিত প্রকল্পগুলিকে, এক
একটি প্রকল্প হিসাবে নির্বাচন করা যেতে পারে-
১) বিদ্যালয়ে পরিচালিত সাংস্কৃতিক কার্যাবলী।
২) বিদ্যালয়ে আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা।
৩) বিদ্যালয়ে পরিচালিত যে কোন খেলা।
৪) বিদ্যালয়ে পরিচালিত কোন প্রাতকালিন সম্মেলন।
৫) অন্য কোন মাধ্যমিক/প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরিচালিত
সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলীর পর্যালোচনা।
নির্বাচিন প্রকল্পের বিষয়ঃ- বিদ্যালয়ে
আয়োজিত বিতর্ক প্রতিযোগিতা (Debate within school)।
প্রথম অধ্যায়
ভূমিকাঃ- আমাদের প্রতিদিনকার
জীবনে প্রতিনিয়ত নানা ঘটনা ঘটে চলেছে। এই সকল ঘটমান বা ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলির
দ্বারা আমরা প্রায় প্রত্যেকেই কম বেশী প্রভাবিত হয়ে পড়ি এবং এগুলি নিয়ে নিজ নিজ
নানা মত প্রকাশ করে থাকি। এক্ষেত্রে আমরা যে সর্বদা এক মত প্রকাশ করি তা নাও হতে
পারে। সাধারণত বেশীরভাগ ঘটনার ক্ষেত্রেই দেখা যায় পক্ষে ও বিপক্ষে উভয় প্রকার মতের
মানুষ বিদ্যমান থাকে। এই যে কোন একটি নির্দিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে পক্ষে ও
বিপক্ষে মত প্রকাশের প্রক্রিয়া, একে সাধারণভাবে বলে বিতর্ক।
তবে অভিধানিক অর্থে “বিতর্ক” হল কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়কে কেন্দ্র করে একটি প্রথাবদ্ধ আলোচনা; যেখানে বিষয়টির পক্ষে ও বিপক্ষে আলোচনা করা হয় এবং সবশেষে ভোটের মাধ্যমে
উক্ত বিষয়কেন্দ্রিক আলোচনার অবসান ঘটানো হয়।
বর্তমানে শিক্ষার্থীদের চিন্তন ক্ষমতা, যুক্তি
ক্ষমতা, বিশ্লেষণ ক্ষমতা ইত্যাদিকে বিকশিত করতে শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান গুলিতে নানা সময়ে আয়োজিত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অন্যতম বিষয় হিসাবে “বিতর্ক প্রতিযোগিতা” আয়োজন করা হচ্ছে এবং তাতে
শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণ করানোর উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
এই গুরুত্বের কথা বিচার করে একাদশ শ্রেণীর অন্যতম
প্রকল্প হিসাবে “বিতর্ক প্রতিযোগিতাকে” স্থান
দেওয়া হয়েছে।
“বিতর্ক প্রতিযোগিতা” আয়োজন
করতে হলে এর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হিসাবে সবার প্রথমে বিতর্কের একটি বিষয়
নির্বাচন করতে হয়।
বর্তমান শিক্ষাবর্ষে শিক্ষাবিজ্ঞান বিষয়ের অন্যতম
প্রকল্প হিসাবে “বিতর্ক প্রতিযোগিতা” নির্বাচন
করা হয়েছে। আর বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিষয় হিসাবে নির্বাচন করা হয়েছে “ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন আছে ”।
প্রকল্পের বিষয়ঃ- সুতরাং, বিতর্ক
প্রতিযোগিতার বিষয় হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে –“ উচ্চ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন আছে ”।
প্রকল্পের উদ্দেশ্যঃ- আলোচ্য প্রকল্পের উদ্দেশ্যগুলি হল-
১) শিক্ষার্থীদের চিন্তন ক্ষমতার বিকাশে সহায়তা করা।
২) শিক্ষার্থীদের যুক্তি ক্ষমতার বিকাশে সহায়তা করা।
৩) শিক্ষার্থীদের মত প্রকাশে স্বাধীনতা দেওয়া।
৪) জন সমক্ষে বক্তব্য প্রদানে শিক্ষার্থীদের সাহসী করে
তোলা।
প্রকল্প রুপায়নের পরিকল্পনাঃ- আলোচ্য
প্রকল্পটি রুপায়নের উদ্দেশ্যে শিক্ষাবিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক/শিক্ষিকা
..........................................( বিষয় শিক্ষক বা শিক্ষিকার নাম )
মহাশয় বা মহাশয়া প্রকল্পের বিষয় হিসাবে নির্বাচন করে দেন-“ উচ্চ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন আছে ”।
এর পর আমরা অর্থাৎ, একাদশ শ্রেণীর
ছাত্র-ছাত্রীরা একটি নির্দিষ্ট দিনে বিতর্ক প্রতিযোগিতামূলক সভাটি পরিচালনা করি
এবং সেদিনকার সমস্ত ঘটনা প্রকল্প খাতায় প্রকল্পের তথ্য হিসাবে পর পর লিপিবদ্ধ করার
পরিকল্পনা স্থির করি।
দ্বিতীয় অধ্যায়
তথ্য সংগ্রহঃ-
প্রকল্পের তথ্য হিসাবে বিতর্ক সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার দিনটির
সকল ঘটনা নিম্নে তুলে ধরা হল –
# সমগ্র বিতর্ক প্রতিযোগিতাটি পরিচালনার জন্য প্রথমে
আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ............( শিক্ষক মহাশয়ের নাম ) মহাশয়কে
সঞ্চালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। সঞ্চালক আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠান শুরু করেন।
# সঞ্চালক- নমস্কার, আজকের
বিতর্ক প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের সভাপতির আসন অলংকৃত করার জন্য শ্রদ্ধেয় প্রধান
শিক্ষক মাননীয় ............( প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের নাম ) মহাশয়ের নাম প্রস্তাব
করছি। ( মঞ্চে উপস্থিত থাকা শিক্ষক মহাশয় ..................( শিক্ষক মহাশয়ের নাম
) সঞ্চালকের প্রস্তাব সমর্থন করেন। )
# সঞ্চালক- আজকের অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির আসন
অলংকৃত করার জন্য মাননীয় / মাননীয়া ........................ ( অতিথি স্যার বা
ম্যাডামের নাম ) মহাশয় বা মহাশয়ার নাম প্রস্তাব করছি। ( মঞ্চে উপস্থিত থাকা শিক্ষক
মহাশয় ..................( শিক্ষক মহাশয়ের নাম ) সঞ্চালকের প্রস্তাব সমর্থন করেন।
)
# সঞ্চালক- আজকের সভায় যারা বিচারকের
আসন গ্রহণ করেছে তারা হলেন –
১) .....................( বিচারক শিক্ষক বা শিক্ষিকার
নাম )।
২) .....................( বিচারক শিক্ষক বা শিক্ষিকার
নাম )।
৩) .....................( বিচারক শিক্ষক বা শিক্ষিকার
নাম )।
৪) .....................( বিচারক শিক্ষক বা শিক্ষিকার
নাম )।
# সঞ্চালক- আজকের
বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিষয়—“ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন
আছে”।
উল্লেখিত বিষয়ে পক্ষে যুক্তি রাখবে –
১) অমল দাস ( কাল্পনিক নাম )।
২) বিথিকা জানা ( কাল্পনিক নাম )।
উল্লেখিত বিষয়ে বিপক্ষে যুক্তি রাখবে –
১) সাহিনা পারভিন ( কাল্পনিক নাম )।
২) পবিত্র মহাপাত্র ( কাল্পনিক নাম )।
প্রথমে, আমরা ডেকে নিচ্ছি অমল দাসকে।
পক্ষে যুক্তি ( অমল দাস )-
আজকের এই বিতর্ক প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানে উপস্থিত সভার
সভাপতি মহাশয়কে, সভার প্রধান অতিথি মহাশয়কে এবং সকল বিচারক
মণ্ডলীকে প্রথমে আমি আমার শ্রদ্ধা, ভালোবাসা এবং প্রণাম
জানাই। আর সেই সঙ্গে বিতর্কে অংশগ্রহণকারী আমার সকল বন্ধু ও বান্ধবীদের জানাই
আন্তরিক সুভেচ্ছা। সকলকে শ্রদ্ধা, প্রণাম ও সুভেচ্ছা জানিয়ে
আমি আমার বলা শুরু করছি।
সভার মতের সঙ্গে আমিও একমত হয়ে বলতে চাই “ উচ্চ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজন আছে”।
প্রথমত, আমাদের জানা প্রয়োজন যে ছাত্রজীবন আমাদের
সম্পূর্ণ জীবন কালের একটি অংশ। আর এই ছাত্রজীবনই রাজনৈতিক সত্ত্বার বিকাশের এবং
প্রয়োগের প্রথম ধাপ। তাই আমার মতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে উচ্চ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতির থাকা প্রয়োজন।
দ্বিতীয়ত, শিক্ষার্থীদেরকে
আর পাঁচটি বিষয়ের মত রাজনীতির শিক্ষাও দেওয়া প্রয়োজন। কারণ, ছাত্র
জীবনে রাজনীতির প্রশিক্ষণ থাকলে পরবর্তী জীবনে তার ব্যবহারিক প্রয়োগ ঘটাতে সুবিধা
হবে।
তৃতীয়ত, উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে বিশেষ করে
মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে যে সকল শিক্ষার্থীরা পড়ে তারা নিতান্ত শিশু
নয়। এই সময় তারা নিজেদের ভালো-মন্দ বুঝতে পারে। ফলে প্রতিষ্ঠানের এবং নিজেদের
ভালোমন্দ মিশিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সচেষ্ট হবে – এটাই কাম্য। তাই ছাত্রদের
রাজনৈতিক সত্ত্বার বিকাশ ঘটাতে মহাবিদ্যালয়ে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সংগঠন তৈরি,
ভোটাধিকার প্রয়োগ এবং তার পরিচালনায় অংশগ্রহণ ইত্যাদি বেশ প্রয়োজন।
চতুর্থত, অনেক সময় ছাত্র ছাত্রীদের
অভাব অভিযোগ সম্পর্কে সঠিক পদক্ষেপ পরিচালন সমিতির পক্ষে নেওয়া সম্ভব হয় না। এর
ফলে ছাত্র ছাত্রীদের উপর বিরুপ প্রভাব পড়ে। কিন্তু, ছাত্র
ছাত্রীদের রাজনীতির সুযোগ থাকলে, তাদের দ্বারা নির্বাচিত
প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তারা তাদের অভাব অভিযোগ পরিচালন সমিতির কাছে তুলে ধরতে
পারবে।
আর বিশেষ কিছু না বলে এখানেই আমি আমার বক্তব্য শেষ করছি।
নমস্কার।
# সঞ্চালক- ধন্যবাদ অমল দাসকে।
এবার ডেকে নিচ্ছি সাহিনা পারভিনকে।
বিপক্ষে যুক্তি ( সাহিনা পারভিন )-
নমস্কার, মঞ্চে উপস্থিত আজকের
অনুষ্ঠানের সভাপতি মহাশয়কে, উপস্থিত প্রধান অতিথি মহাশয়কে
এবং উপস্থিত বিচারক মণ্ডলীকে জানাই আমার শ্রদ্ধা, প্রণাম ও
ভালোবাসা। আর আজকের বিতর্কে অংশগ্রহণকারী আমার সকল বন্ধু ও বান্ধবীদের জানাই
আন্তরিক সুভেচ্ছা। সকলকে শ্রদ্ধা, প্রণাম ও সুভেচ্ছা জানিয়ে
আমি আমার বলা শুরু করছি।
আমি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি থাকার
সম্পূর্ণ বিপক্ষে।
প্রথমত, ছাত্রদের রাজনীতির সঙ্গে নিজেদের যুক্ত করা
ঠিক না। কারণ- ছাত্ররা যদি রাজনীতিতে নিজেদের জড়িয়ে ফেলে তাহলে তাদের পড়াশোনার
ক্ষতি হবে। তাছাড়া রাজনীতি করার সময় তো আর শেষ হয়ে যাচ্ছে না। ছাত্রছাত্রীরা
পড়াশোনা শেষ করে রাজনীতিতে আসতে পারে। তাই উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র
রাজনীতিতে আমার মত নেই। অর্থাৎ, আমি এর বিপক্ষে।
দ্বিতীয়ত, আমাদের দেশের প্রাচীন বৈদিক শিক্ষায়
বলা আছে “ছাত্রানাং অধ্যায়নং তপ”। অর্থাৎ, ছাত্রদের অধ্যায়ন করাই একমাত্র তপস্যা। আর ছাত্ররা যদি রাজনীতিতে প্রবেশ
করে তাহলে তাদের অধ্যায়ন ব্যাহত হবে। তাই উচ্চ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি চাই না।
তৃতীয়ত, আমাদের দেশের
বর্তমান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে ছাত্র রাজনীতির নামে যে সকল ঘটনা গুলি ঘটে চলেছে, তাতে
ছাত্রছাত্রী এবং প্রতিষ্ঠানের উন্নতি তো হচ্ছে না, বরং এতে
করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ছাত্রছাত্রী উভয়েরই ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। তাই আমি চাই উচ্চ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে রাজনীতি নয় পড়াশোনাই হোক। এই বলে আমি আমার বক্তব্য
এখানেই শেষ করছি।
# সঞ্চালক- ধন্যবাদ
সাহিনা পারভিনকে। এবার ডেকে নিচ্ছি বিথিকা জানাকে।
পক্ষে যুক্তি ( বিথিকা জনা )-
নমস্কার, সকলকে নমস্কার, প্রণাম, ভালোবাসা এবং বিতর্কে অংশগ্রহণকারী আমার সকল
বন্ধুদের সুভেচ্ছা জানিয়ে আমি শুরু করছি। সভার সঙ্গে আমিও একমত যে উচ্চ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি থাকা প্রয়োজন। কারণ-
প্রথমত, বর্তমানে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে
ছাত্র রাজনীতি চালু আছে। আর কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের বয়স সার্বিক
ভোটাধিকারের পর্যায়ে পড়ে। এরা দেশের সাধারণ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে। আমাদের
সংবিধান তাদের সেই স্বীকৃতি দিয়েছে। তাহলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে উচ্চ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করতে বাধা কোথায় ?
দ্বিতীয়ত, ছাত্র রাজনীতি এবং সাধারণ রাজনীতি
এক নয়। ছাত্র রাজনীতি হল ছাত্রদের মধ্য থেকে প্রতিনিধি নির্বাচন করে ঐ
প্রতিনিধিদের দিয়ে ছাত্রদের নানাবিধ সমস্যা ( ক্লাসের সমস্যা, অর্থনৈতিক
সমস্যা ) পরিচালন সমিতির কাছে তুলে ধরে সেগুলির প্রয়োজনীয় সমাধানে কর্তৃপক্ষকে
সচেষ্ট করা। এতে করে একদিকে যেমন শিক্ষার মান উন্নত হবে ঠিক তেমনই পরিকাঠামোর মানও
উন্নত হবে।
তৃতীয়ত, ছাত্ররাই ভবিষ্যতে দেশের নেতৃত্ব প্রদান
করবে। তাই যদি ছাত্র অবস্থাতেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে, বিশেষ
করে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলিতে ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে ছাত্রদের নেতৃত্বদান,
সমবেত হওয়া, সহমত হওয়া ইত্যাদির প্রশিক্ষণ
দেওয়া যায়; তাহলে সুভাষ চন্দ্র বসু, ক্ষুদিরাম
বসু প্রমুখ মহাপুরুষের ন্যায় ভবিষ্যৎ নেতা তৈরি করা সম্ভব হবে। তাই উচ্চ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি থাকার প্রয়োজন আছে। এই বলে আমি এখানেই শেষ করছি।
নমস্কার।
# সঞ্চালক- ধন্যবাদ বিথিকা জানাকে। এবার
ডেকে নেব পবিত্র মহাপাত্রকে।
বিপক্ষে যুক্তি ( পবিত্র মহাপাত্র )-
নমস্কার। শ্রদ্ধেয় বিচারক মণ্ডলী, মঞ্চে
উপস্থিত গুনি ব্যক্তিগন এবং বিতর্কে অংশগ্রহণকারী আমার সকল বন্ধু এবং বান্ধবীদের
যথাযোগ্য সম্মান জানিয়ে আমি আমার বক্তব্য শুরু করছি। আমি সভার মতে একমত নই,
যে – “উচ্চ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি থাকা প্রয়োজন”। তাই আমি উচ্চ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি থাকার বিপক্ষে। কারণ-
প্রথমত, ছাত্র রাজনীতি হল
ছাত্রদের উচ্ছন্নে যাওয়ার অন্যতম প্রথম ধাপ। এখানে ছাত্ররা পড়াশোনাটা কম করে, রাজনীতিটা
বেশী করে। আর এর ফলে ছাত্রদের পড়াশোনার বারোটা বাজে। তাই আমি উচ্চ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানে ছাত্রদের রাজনীতি করাটা মানতে পারছি না।
দ্বিতীয়ত, ছাত্র রাজনীতির নাম করে বর্তমানে
প্রতিটি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক দলগুলি ছাত্রদের দিয়ে এক একটি দল গঠন
করে এবং তাদের দিয়ে দলের নানা কাজ করায়। যা আসলে ছাত্র রাজনীতির আড়ালে স্বীকৃত
রাজনৈতিক দলের কাজ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় এই কাজ কর্মের সঙ্গে উচ্চ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের বা ছাত্রছাত্রীদের উন্নয়নের কোন সম্পর্ক থাকে না। তাই আমি উচ্চ
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি চাই না।
তৃতীয়ত, উচ্চ শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান গুলিতে ছাত্র রাজনীতির নাম করে ছাত্রদের নিয়ে যে সকল শ্লোগান, মিটিং,
মিছিল সংগঠিত হয় তা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা পরিবেশকে প্রতিকূল
করে তোলে। তাই আমার মতে উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি থাকা উচিৎ নয়।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমন হবে যেখানে শুধু মাত্র পঠন পাঠন সংক্রান্ত কাজ চলবে। এই বলে
আমি এখানেই শেষ করছি। নমস্কার।
# সঞ্চালক- ধন্যবাদ পবিত্র মহাপাত্রকে। তাহলে আমরা
এতক্ষণ আজকের বিতর্কমূলক বিষয়- “ উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
ছাত্র রাজনীতি থাকা প্রয়োজন ”-এর পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তিগুলি
শুনলাম। সকলেই সুন্দরভাবে পক্ষে ও বিপক্ষে যুক্তিগুলি তুলে ধরেছে। এই পক্ষে এবং
বিপক্ষে যুক্তিগুলি বিচার করে বিচারক মণ্ডলী তাদের ফলাফল প্রকাশ করবেন। আমরা সেই
ফলাফলের আশায় রইলাম। উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের বিতর্ক সভার অনুষ্ঠান
আমরা এখানেই শেষ করছি। সকলে ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ।
তথ্য বিশ্লেষণঃ-
নির্ধারিত প্রকল্পটির সকল তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে
যে –
১) বিতর্ক প্রতিযোগিতামূলক সভায় অংশগ্রহণকারী
শিক্ষার্থীরা সকলেই তাদের মতের সমর্থনে যথাযথ যুক্তিপূর্ণ তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা
করেছে।
২) বিতর্ক প্রতিযোগিতামূলক সভায় উপস্থাপিত বক্তব্যগুলির
মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের উন্নত চিন্তন ও যুক্তিশীলতার পরিচয় পাওয়া গেছে।
সিদ্ধান্ত গ্রহণঃ-
উক্ত বিতর্ক প্রতিযোগিতামূলক সভা অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে
এবং বিতর্ক সভায় অংশগ্রহণকারী ছাত্রছাত্রীদের প্রত্যক্ষ করে আমরা বিতর্ক সভার নিয়ম
কানুন এর সঙ্গে বাস্তবসম্মতভাবে পরিচিত হতে পেরেছি। সঙ্গে সঙ্গে সমগ্র বিতর্ক সভার
অনুষ্ঠানটি আমরা বিশেষভাবে উপভোগ করেছি।
তৃতীয় অধ্যায়
সীমাবদ্ধতাঃ-
সকল ছাত্রছাত্রীরা বিতর্ক সভায় অংশগ্রহণ করেনি। বেশীর
ভাগ ছাত্রছাত্রীরাই ছিল দর্শকের আসনে।
সহায়ক
গ্রন্থপুঞ্জিঃ- আলোচ্য প্রকল্পটি রুপায়নের জন্য যে সকল
গ্রন্থপুঞ্জির সাহায্য নেওয়া হয়েছে, সেগুলি হল-
১) ঘোড়াই নিমাই চাঁদ, উচ্চমাধ্যমিক
শিক্ষাবিজ্ঞান, এ.বি.এস. পাবলিশিং হাউস, কলিকাতা, ২০১৫-১৬।
২) রায় সুশীল, আধুনিক শিক্ষার
পটভূমি, সোমা বুক এজেন্সি, কলিকাতা, ২০১৫।
৩) ডঃ পাল দেবাশিস এবং ডঃ
সাহু সুশান্ত কুমার, প্রশ্নোত্তরে শিক্ষাবিজ্ঞান, ছায়া প্রকাশনী, কলিকাতা, ২০১৫।
৪) ডঃ রায় সুভাষ চন্দ্র, উচ্চমাধ্যমিক
শিক্ষাবিজ্ঞান, সাঁতরা পাবলিকেশন প্রাঃ লিঃ, কলিকাতা, ২০১৭।
সহপাঠ কার্যাবলী বৈশিষ্ট্য
ReplyDeleteরবীন্দ্রনাথ প্রকল্প
ReplyDeleteJoydeep mondal
ReplyDelete8370945208
ReplyDeleteKasiram Das
ReplyDelete